Wednesday, June 1, 2016
কোরআন ও হাদীসের আলোকে ইলম/জ্ঞান
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহ্ তা'আলার নামে যিনি অতি দয়ালু।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আজকে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব কোরানের আলোকে ইলম/জ্ঞান চর্চার গুরুত্ত। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ
"ওদের বল, যারা জানে এবং যারা জানে না এই উভয়দল কখনো সমান হতে পারে না"।( সূরা আল যুমার -৯)
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা কোরআনুল কারীমে অন্যত্র উল্লেখ করেনঃ
يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ
"তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার ও যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ্ তাদেরকে সুউচ্চ মর্যাদা দান করবেন"।(সূরা আল মুজাদালাহ্-১১)
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেনঃ
وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
"হে পরোয়ারদিগার! আমাকে আরো অধিক জ্ঞান দান কর"। (সূরা ত্বোয়া-হা -১১৪)
আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেনঃ
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاء
"আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল ইলম/জ্ঞান সম্পন্ন লোকেরাই তাকে ভয় করে"।(সূরা ফাতির - ২৮)
মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি কোন ইলম/জ্ঞান শিখালো, সে ততটাই প্রতিদান পাবে, যতটা আমলকারী পাবে। আর আমলকারীর প্রতিদানে কোন ঘাটতি আসবে না"। (ইবনে মাজা)
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসূল (সাঃ) বলেন, "আদমের কোন সন্তান যখন মারা যায়, সাথে সাথে তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমলের সাওয়াব পেতে থাকে। সাদকায়ে জারিয়াহ, এমন ইলম/জ্ঞান যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়, এবং সুসন্তান যে তার জন্য দোয়া করে"।(মুসলিম)
সাহল বিন সা'দ (রাঃ) থেকে বর্নিত। নবী কারীম (সাঃ) বলেন, "আল্লাহর শপথ! তোমার মাধ্যমে কোন একটি লোককেও যদি আল্লাহ্ হেদায়াত দান করেন, তাহলে তা তোমার জন্য লাল উটের চেয়েও উত্তম"। (বুখারী)
আব্দুল্লাহ বিন আমরুবনিল আস (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসূল (সাঃ) বলেন"আমার কাছ থেকে একটি বাক্য হলেও তা লোকদের কাছে পৌছিয়ে দাও"।(বুখারী)
উক্ত আয়াত ও হাদীস সমূহের নির্দেশনাবলীঃ
১। উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস সমূহের ইলম ও ওলামায়ে কেরামদের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। যে দিনের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করে, তার জন্য আল্লাহর কল্যানকামিতাই প্রমান করে। অনুরুপ জ্ঞান অন্বেষন করা জান্নাত লাভের অন্যতম কারনও বটে।
২। মানুষকে শিক্ষাদান ও সৎপথ প্রদর্শন করা এবং স্বল্প হলেও জ্ঞান প্রচারের প্রতিদান অনেক অনেক বেশী। আর তা মৃত্যুর পরেও মানুষের কাজে আসবে।
৩। নফল এবাদতের চেয়ে ইলম তথা জ্ঞান অর্জন করা উত্তম ও শ্রেয়।
৪। সন্তানাদিদের সৎ ও উত্তম তারবীয়াতের প্রতি আগ্রহী হওয়া আবশ্যক।
Friday, May 27, 2016
ডাউনলোড করে নিন কিছু ইসলামিক বই। মুসলিম ভাই ও বোনেরা সবাই ডাউনলোড করুন ।
বন্ধরা সবাই ভালতো আশাকরি সবাই ভাল আছেন । আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম কিছু ইসলামিক বই আশাকরি বই গুলো আপনাদের কাজে আসবে । সাইজ খুব বড় না খুব ছোটই আছে আর ডাউনলোড করতেও কোন সমস্যা হবে না । তাহলে আর এই বিষয়ে কথা না বাড়িয়ে নীচে থেকে এখুনি ডাউনলোড করুন । সব কটি বই পেতে নীচে যান ।
Thursday, May 26, 2016
শির্ক থেকে সতর্ক ও তাওহীদের মাহাত্ম্য।
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুনাময় আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লার নামে শুরু করছি।
পরম করুনাময় আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লার নামে শুরু করছি।
শির্ক থেকে সতর্ক ও তাওহীদের মাহাত্ম্য।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা'লা বলেনঃ
إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ
"নিশ্চয় শির্ক অতি বড় যুলুমের কাজ"। (সূরা লোকমান-১৩)
আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেনঃ
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء
"আল্লাহ্ কেবল শির্কের গুনাহ মাফ করবেন না, শির্ক ব্যাতীত আর যত গুনাহ আছে তা আল্লাহ্ য়াকে ইচ্ছা তাকে মাফ করে দিবেন"। (সূরা নিসা-৪৮)
মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ
وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
"তোমার প্রতি ও তোমার পূর্বে গত হওয়া সমস্ত নবী-রাসূলদের প্রতি এই অহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি যদি শির্ক কর, তাহলে তোমার আমল নষ্ট হয়ে যাবে, আর তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে"। (সূরা আল যুমার-৬৫)
তিনি আরো বলেনঃ
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
"আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করি নাই, কেবল এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার এবাদত বন্দেগী করবে"। (সূরা আয য়ারিয়াত-৫৬)
আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা আরো বলেনঃ
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ
"আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে একজন করে রাসূল পাঠিয়েছি। আর তার সাহায্যে সকলকে সমাধান করে দিয়েছি যে, আল্লহর এবাদত বন্দেগী কর এবং তাগুতের এবাদত বন্দেগী থেকে দূরে থাক"। (সূরা নাহ্ল- ৩৬)
"নিশ্চয় শির্ক অতি বড় যুলুমের কাজ"। (সূরা লোকমান-১৩)
আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেনঃ
إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء
"আল্লাহ্ কেবল শির্কের গুনাহ মাফ করবেন না, শির্ক ব্যাতীত আর যত গুনাহ আছে তা আল্লাহ্ য়াকে ইচ্ছা তাকে মাফ করে দিবেন"। (সূরা নিসা-৪৮)
মহান আল্লাহ্ আরো বলেনঃ
وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
"তোমার প্রতি ও তোমার পূর্বে গত হওয়া সমস্ত নবী-রাসূলদের প্রতি এই অহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি যদি শির্ক কর, তাহলে তোমার আমল নষ্ট হয়ে যাবে, আর তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে"। (সূরা আল যুমার-৬৫)
তিনি আরো বলেনঃ
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
"আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করি নাই, কেবল এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার এবাদত বন্দেগী করবে"। (সূরা আয য়ারিয়াত-৫৬)
আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা আরো বলেনঃ
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ
"আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে একজন করে রাসূল পাঠিয়েছি। আর তার সাহায্যে সকলকে সমাধান করে দিয়েছি যে, আল্লহর এবাদত বন্দেগী কর এবং তাগুতের এবাদত বন্দেগী থেকে দূরে থাক"। (সূরা নাহ্ল- ৩৬)
জাবের (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি শীর্ক করা ব্যতিরকে আল্লাহর সম্মুখে উপস্হিত হতে পারবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে শির্ক নিয়ে উপস্হিত হবে, সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে"।(মুসলিম)
আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ননা করেছেন। তিনি বলেছেন, "ধ্বংসকারী সাতটি বস্তু থেকে বাচো! সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! (সাঃ) সেই সাতটি বস্তু কি কি? তিনি উত্তরে বলেন, আল্লাহর সহিত শির্ক করা___। (বুখারী ও মুসলিম) মাআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি একটি গাধার উপরে আল্লাহর নবীর পশ্চাতে বসে ছিলাম। অতঃপর আল্লাহর রাসূল আমাকে সাক্ষ্য করে বললেন, হে মাআয! বান্দাদের উপর আল্লাহর এবং আল্লাহর উপর বান্দাদের অধিকার কি জান? আমি বললাম, আল্লাহ্ ও তার রাসূল সর্বাধিক জ্ঞাত। রাসূল (সাঃ) বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক তথা অধিকার হলো এই যে, তারা এবাদত করবে শুধুমাত্র তারই এবং তার সঙ্গে কোন কিছুকেই শরীক করবে না। আর আল্লাহর কাছে বান্দার আবদার হলো এই যে, তিনি শির্ক মুক্ত বান্দাকে শাস্তি দেবেন না। (বুখারী ও মুসলিম)
উক্ত আয়াত ও হাদীসসমূহের নির্দেশনাবলীঃ
১। শির্কের গুনাহ এত ভয়ংকর যে, তাওবা করা ব্যাতীত আল্লাহ্ তা মাফ করবেন না, যেমন অন্যান্য পাপসমূহ ইচ্ছে করলে আল্লাহ্ মাফ করে দিবেন।
২। যে শির্কের উপর মৃত্যু বরন করবে, তার আমল যেমন পন্ড ও বিফল হবে, তেমনি দোযখই অনন্ত কালের জন্য হবে অবধারিত পরিণতি।
৩। এতে তাওহীদ তথা একত্ববাদের মাহাত্ম্য প্রমানীত হয়, যা ছিল জ্বিন ও মানব সৃষ্টির মূল লক্ষ এবং জান্নাত লাভ ও দোযখ থেকে মুক্তির প্রধান পূর্বশর্ত।
আমাদের সকল মুসলমানদেরকে শির্ক থেকে বাচার তৌফিক দান করো, আমিন।
Saturday, May 21, 2016
আয়তুল কুরসি এর ফযীলতঃ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
আয়তুল কুরসি কুরআনুল কারিমের সবচেয়ে বড় সূরা 'সূরা আল বাকারার ২৫৫ নং আয়াত' যা কুরআনের সবচেয়ে বড় আয়াতও বটে এ সূরার রয়েছে অনেক ফযিলত এর ফযিলত সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম হযরত উবাই ইবনে কা'বকে জিজ্ঞাসা করলেন সবচেয়ে ফযিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আয়াত কোনটি ? উবাই ইবনে কা'ব আরয করলেন, সেটি হচ্ছে আয়তুল কুরসি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম তা সমর্থন করলেন এবং বললেন, হে আবুল মানজার ! তোমাকে এই উত্তম জ্ঞনের জন্য ধন্যবাদ (মুসনাদে আহমদ)
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
আয়তুল কুরসি কুরআনুল কারিমের সবচেয়ে বড় সূরা 'সূরা আল বাকারার ২৫৫ নং আয়াত' যা কুরআনের সবচেয়ে বড় আয়াতও বটে এ সূরার রয়েছে অনেক ফযিলত এর ফযিলত সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম হযরত উবাই ইবনে কা'বকে জিজ্ঞাসা করলেন সবচেয়ে ফযিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আয়াত কোনটি ? উবাই ইবনে কা'ব আরয করলেন, সেটি হচ্ছে আয়তুল কুরসি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম তা সমর্থন করলেন এবং বললেন, হে আবুল মানজার ! তোমাকে এই উত্তম জ্ঞনের জন্য ধন্যবাদ (মুসনাদে আহমদ)
আয়তুল কুরসি আরবি ভাষায়ঃ
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُلاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم
উচ্চারনঃ আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম। লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি-ইজনিহি ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশি ইম মিন ইল মিহি ইল্লা বিমা শাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউনহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যুল আজীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনিই চিরিঞ্জীব; যাবতীয় সবকিছুর ধারক। তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমিনের যা কিছু রয়েছে সবই তার। কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া ? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সবই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেস্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেস্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারন করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সরবোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। (সূরা আল বাকারা-২৫৫)
জান্নাতের দরজাঃ আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরিয নামাজ শেষে আয়তুল করসি পড়ে , তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না। (সহীহ আল জামে-৬৪৬৪) হযরত আলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাজের পর আয়তুল কুরসি নিয়মিত পড়ে তার জান্নাত প্রবেশ কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশীর ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন।সুনানে বাইহাকী-২ঃ৩)
আয়তুল কুরসি ও এর ফযীলতঃ
aytul kursi |
মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াতঃ
আদু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মরযাদাসম্পন্ন কন আয়াতটি নাযীল হিয়েছে ? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, "আয়তুল কুরসি"। (নাসায়ি) উবাই বিন কা'ব থেকে বর্ণিতঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উবাই বিন কা'বকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "তোমার কাছে কোরআন মাজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান ? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেনঃ আবুল মুনযির ! এই ইল্মের কারনে তোমাকে ধন্যবাদ"। (সহীহ মুসলিম-১৭৫৫)শয়তান এর প্রভাব থেকে বাঁচার উপায়ঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ট আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়তুল কুরসি পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। (মুসতাদরাকে হাকিম -২১০৩)ফেরেস্তা নিযুক্তকারী আয়াতঃ
আবু হুরায়রা (রাঃ) একদিন দেখতে পেলেন একজন আগন্তক সদকার মাল চুরি করতেছে, তখন তিনি আগন্তকের হাত ধরে বললেন, আল্লয়াহ্র কসম আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর কাছে নিয়ে যাব তখন বলে যে, আমি খুব অভাবী আর তার অনেক প্রয়োজন। তাই দয়া করে আবু হুরায়রা তাকে ছেড়ে দিলেন। পরদিন সকালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসার পর তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, গতকাল তোমার অপরাধি কি করেছে? আবু হুরায়রা (রাঃ) তাকে ক্ষমা করার কথা বললেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অবশ্য সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবার আসবে। পরদিন আবু হুরায়রা (রাঃ) চুরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন আর যখন সে আবারও চুরি করতে আসল তখন তিনি তাকে পাকড়াও করলেন আর বললেন এবার অবশ্যই আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূলের কাছে নিয়ে যাব। এবারও সে চুর বলে যে সে খুব অভাবী আর তার অনেক প্রয়োজন আর সপথ করে যে, আর আসবে না। পরদিন আবারও রাসূল তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি একই জবাব দেন আর তখন তিনি বললেন, আসলেই সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবার আসবে। পরদিনও আবার আবু হুরায়রা (রাঃ) চুরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন আর যখন সে চুরি করতে আসল তখন তিনি তাকে পাকড়াও করলেন আর বললেন, এবার অবশ্যই আমি তোমাকে রাসূলের কাছে নিয়ে যাব। তুমি বার বার সপথ করো আর চুরি করতে আস। চুর যখন দেখল এবার সে সত্তিই রাসূল (সাঃ) এর কাছে নিয়ে যাবে তখন অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলে, আমাকে মাফ করো। আমি তোমাকে এমন কিছু বলে দিব যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে কল্যান দান করবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) জানতে চাইলে চুর বলে "যখন ঘুমাতে যাবে তখন আয়তুল কুরসি (আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল....) পড়ে ঘুমাবে। তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য একজন পাহাড়াদার নিযুক্ত করবে যে তোমার সাথে থাকবে আর কনো শয়তান সকাল পর্যন্ত তার কাছে আসতে পারবে না। এটা শুনে আবু হুরায়রা (রাঃ) তাকে ছেড়ে দিলেন। পরদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার অপরাধীর কথা জানতে চায়লে তিনি আগের রাতের কথা বললেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদিও সে চরম মিথ্যাবাদী কিন্ত সে সত্য বলেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু হুরায়রা (রাঃ) কে বললেন, তুমি কি জান সে কে? আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন; না। রাসূল (সাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, সে হচ্ছে শয়তান। (সহীহ বুখারী -২৩১১)
যিকিরের আয়াতঃ
উবাই ইবনে কা'ব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তার এক খেজুর রাখার থলি ছিল। সেটায় ক্রমশ তার খেজুর কমতে থাক্ত।মেক রাতে সে পাহারা দেয়। হঠাত যুবকের মত এক জন্তন্দেখা গেলে, তিনি তাকে সালাম দেন। সে সালামের উত্তর দেয়। তিনি বলেন তুমি কি ? জীন না মানুষ ? সে বলে জীন। উবাই (রাঃ) তার হাত দেখতে চান। সে তার হাত দেয়। তার হাত ছিল কুকুরের হাতের মত আর চুল ছিল কুকুরের চুলের মত। তিনি বলেন এটা জীনের সুরত। সে জন্ত বলে, জীন সম্প্রদায়ের মধ্যে আমি সবচাইতে সাহসী। উবাই (রাঃ) বলেন তোমার আসার কারন কি ? সে বলে, আমরা শুনেছি আপনি সাদকা পছন্দ করেন, তাই কিছু সাদকার খাদ্যসামগ্রি নিতে এসেছি। সাহাবি বললেন, তোমাদের থেকে পরিত্রানের উপায় কি ? সে বলে সূরা বাকারার এই আয়াতটি (আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।) যে ব্যক্তি সন্ধায় এটি পড়বে, সকাল পর্যন্ত আমাদের থেকে পরিত্রান পাবে। আর যে ব্যক্তি সকালে এটি পড়বে, সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের থেকে নিরাপদে থাকবে। সকাল হলে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাসে আসেন এবং ঘটনার কথা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, খবীস সত্য বলেছে। (সহীহুত তারগীব -১/৪১৮)
আয়তুল কুরসির অঙ্গ রয়েছেঃ
উবাই বিন কা'ব (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী কারিম (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর কসম! যার হাতে আমার প্রাণ আয়তুল কুরসির একটি জিহ্বা ও দু'টি ঠোঁট রয়েছে এটি আরশের পায়ার কাছে আল্লাহর প্রসংশা করতে থাকে। (মুসনাদে আহমদ -২১৬০২)
Monday, May 16, 2016
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্- এর অর্থ, মাহাত্ম্য ও মর্যাদা।
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।
بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ
পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু- এর অর্থ ও মাহাত্ব।
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু এ সংহ্মিপ্ত বাক্যটি দ্বীনের ভিত্তি ও বোনিয়াদ। ইসলাম ধর্মে এর রয়েছে বড় মর্যাদা ও মহান তাৎপর্য। এটি ইসলাম ধর্মের পাচটি মৌলিক বোনিয়াদ সমূহের সর্বপ্রথম বোনিয়াদ এবং ঈমানের সর্বোচ্চ শাখা। সাৎকার্য আল্লাহর দরবারে গৃহীত হওয়া না হওয়া এ কালেমার মৌখীক স্বীকৃতি দেওয়া এবং তদনুযায়ী আমল করার উপর নির্ভর করে। এ বাক্যটির সঠিক ও বিশুদ্ধ অর্থ যার দ্বিতীয় কোন ব্যাখ্যার অবকাশ নেই তা হলো, "আল্লাহ্ ব্যতীত সত্যিকারে কোন মা'বুদ বা উপাস্য নেই"। এর অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন সৃষ্টিকর্তা নেই, অথবা আল্লাহ্ ছাড়া আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের সহ্মম কেউ নেই, বা আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ বিদ্যমান নেই। এ বাক্যটির দু'টি অংশ রয়েছে যথাঃ
১। "লা ইলাহা" এটি নেতিবাচক বা অস্বীকৃতিমূলক অংশ। এতে প্রত্যেক বস্তুর উপাস্য বা মা'বুদ হওয়ার যোগ্যতাকে অস্বীকার করা হয়েছে।
২। "ইল্লাল্লাহ্" এটি ইতিবাচক অংশ। যাতে শুধুমাত্র এক ও এককভাবে আল্লাহর জন্যই মা'বুদ হওয়ার উপযোক্ততাকে দৃড়ভাবে স্বীকার করা হয়েছে। অতএব আল্লাহ্ ব্যতীত কারো এবাদত করা যাবেনা। কোন প্রকার এবাদত আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো জন্য সম্পাদন করা বৈধ হবে না। যে ব্যক্তি এ কালেমার অর্থ অনুধাবন করে এবং তার অত্যাবশ্যকীয় বিধানগুলো সর্বপ্রকার শির্ক থেকে বিরত থাকে, একত্ববাদের স্বীকৃতি দিয়ে মেনে চলে, মুখে তার স্বীকৃতি দেয়, সাথে সাথে কালেমায় নিহিত বিষয়গুলোর উপর দৃঢ় বিশ্বাস ও প্রত্যয় রেখে তদানুযায়ী আমল করে, সেই প্রকৃত মুসলমান। আর যে অবিচল কোন আস্থা না রেখে তার উপর আমল করার ভান দেখায়, সে মুনাফিক ও কপট। আর যে কালেমার পরিপন্থী (যথা শির্ক) কাজ করে, সে মুনাফিক ও কাফের যদিও সে তা মুখে উচ্চারন করুক না কেন।
লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ্ এর মর্যাদা ও মাহাত্ম্যঃ
এ কালেমার অনেক উচ্চ মর্যাদা ও মাহাত্ম্য এবং বিপুল সফল রয়েছে। নিম্নে কিঞ্চিত পেশ করা হলোঃ
(১) এ কালেমাটি দোযখের চিরস্থায়ী ও অনন্ত কালের ভয়াবহ শাস্তি থেকে মানুষকে নিষ্কৃতি দেয়, যদিও (গুনাহের কারনে সে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য) তাতে নিহ্মিপ্ত হয়। বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসটি তারই প্রমান। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অর্থাৎ, "যে ব্যক্তি `লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' এর স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তার অন্তরে যব পরিমান কল্যান আছে তাকে দোযখ থেকে বের করে আনা হবে। আর যে ব্যক্তি 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লা' এর উচ্চারন করেছে এবং তার অন্তরে গম পরিমান কল্যান আছে, তাকে দোযখ থেকে বের করে আনা হবে। আর সে ব্যক্তিকেও বের করে আনা হবে, যে এ বাক্যটি পড়েছে এবং তার অন্তরে অনু পরিমান কল্যান আছে"। (বুখারী)
(২) এ কালেমাটির জন্য মানুষ ও জ্বীন জাতিদ্বয়কে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ
وَما خَلَقتُ الجِنَّ وَالإِنسَ إِلّا لِيَعبُدونِ
"আমি জ্বীন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করি নাই কেবল এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার এবাদত করবে"। (সূরা আয-যারীয়াত ৫৬)
(৩) এ কালেমাটি প্রচারের জন্যই যুগে যুগে অনেক রাসূল (সাঃ) প্রেরিত হয়েছেন, অবতির্ন হয়েছে আসমানি কিতাব সমূহ। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা বলেনঃ
وَما أَرسَلنا مِن قَبلِكَ مِن رَسولٍ إِلّا نوحى إِلَيهِ أَنَّهُ لا إِلٰهَ إِلّا أَنا۠ فَاعبُدونِ
অর্থাৎ, "আমি তোমার পূর্বে যে রাসূলই প্রেরন করেছি, তাকে এ অহী দান করেছি যে, আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই; অতএব তোমরা আমারই এবাদত কর"। (সূরা আম্বিয়া ২৫)
(৪) এ কালেমাটি সমস্ত রাসূলগনের দাওয়াতের এক অভিন্ন বিষয় ছিল। তারা সকলেই কালেমার দিকে আহ্বান করে স্বীয় জাতীকে বলতেন,
قالَ يٰقَومِ اعبُدُوا اللَّهَ ما لَكُم مِن إِلٰهٍ غَيرُهُ
"আল্লাহর এবাদত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন মা'বুদ নাই"। (সূরা আল-আ'রাফ ৭৩)
(৫) এ কালেমাটি হলো সর্বোত্তম যিকর। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগন সর্বোত্তম যে যিকরটি করতাম সেটি হলোঃ
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ
অর্থাৎ, "আল্লাহ্ ছাড়া সত্যিকারে কোন মা'বুদ নাই। গিনি একক তার কোন অংশিদার নেই"। (মুআত্তা)
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এর শর্তাবলীঃ
আমরা যে কলেমাটি উচ্চারণ করে ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে সমবেত হয়েছি, সে কালেমার এমন কিছু শর্তাবলী আছে, যা একত্রে আমাদের মধ্যে বর্তমান হলে এবং একটি শর্তেরও বিরোধিতা না করে এ সব গুলো দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে পারলে প্রকৃত মুমিন বলে পরিগনিত হবো। নিম্নে সে শর্তাবলী সংহ্মিপ্ত ভাবে উল্লেখ করা হলোঃ
(১) ইলম (জ্ঞান)। কালেমার ইতিবাচক ও নেতিবাচক অর্থ এবং তার অবিচ্ছেদ্য জ্ঞান থাকা আবশ্যক। বান্দা যখন মহান প্রভুকে এক ও একক মা'বুদ বলে জানবে, তিনি ব্যতীরকে অন্য যে কোন সত্তার এবাদত করাকে ভ্রান্তি বলে বিশ্বাস করবে এবং সে জ্ঞান অনুযায়ী আমল করবে, সেই প্রকৃতার্থে কালেমার মর্ম ও তাৎপর্যের খাটি জ্ঞানী বলে গন্য হবে। আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ
فَاعلَم أَنَّهُ لا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ
অর্থাৎ, "হে নবী! জেনে রাখো! আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই"। (সূরা মুহাম্মদ ১৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
অর্থাৎ, "যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই-এর জ্ঞান রেখে মারা যাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে"। (মুসলিম)
(২) দৃঢ় বিশ্বাস। এ কালেমার মৌখিক স্বীকৃতি এমন দৃঢ় বিশ্বাস ও অবিচল প্রত্যয় সহকারে দিতে হবে যাতে থাকবে অন্তরের প্রশান্তি। জ্বীন ও মানব শয়তানের বপন করা কোন প্রকারের সন্দেহের বীজ সেখানে থাকবে না। আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ
إِنَّمَا المُؤمِنونَ الَّذينَ ءامَنوا بِاللَّهِ وَرَسولِهِ ثُمَّ لَم يَرتابوا
অর্থাৎ, "প্রকৃত পহ্মে মুমিন তো তারাই যারা আল্লাহ্ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে। অতঃপর কোন সন্দেহ পোষন করে না"। (সূরা আল হুজরাত ১৫)
আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ অর্থাৎ, "আমি সাহ্ম্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া সত্যিকারে কোন মা'বুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যেকোন বান্দা এ দু'টি বাক্যের সন্দেহমুক্ত বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্হিত হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে"। (মুসলিম)
(৩) গ্রহন। এ কালেমার প্রত্যেকটি দাবিকে মুখে ও অন্তরে সাদরে গ্রহন করতে হবে। অতএব অতীত ও বর্তমানের বিভিন্ন ঘটনাবলী কোরআন ও হাদিসে এসেছে তা বিশ্বাস করতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ ভাবে যা বর্নিত হয়েছে, তার প্রতি ঈমান আনতঃ প্রত্যেকটিকে গ্রহন করে নিতে হবে। কোন কিছুকেই প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ءامَنَ الرَّسولُ بِما أُنزِلَ إِلَيهِ مِن رَبِّهِ وَالمُؤمِنونَ ۚ كُلٌّ ءامَنَ بِاللَّهِ وَمَلٰئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لا نُفَرِّقُ بَينَ أَحَدٍ مِن رُسُلِهِ ۚ وَقالوا سَمِعنا وَأَطَعنا ۖ غُفرانَكَ رَبَّنا وَإِلَيكَ المَصيرُ
অর্থাৎ, "রাসূল সেই হেদায়াতকেই বিশ্বাস করেছেন, যা তার পরোয়ারদিগারের নিকট হতে তার প্রতি নাযিল হয়েছে।আর যারা এই রাসূলের প্রতি বিশ্বাস করেছে তারাও সেই হেদায়াতকে মন দিয়ে মেনে নিয়েছে।সকলেই আল্লাহ্, ফেরেস্তা, তার কিতাব এবং তার রাসূলগনকে বিশ্বাস করে ও মানে এবং তাদের কথা এই, আমরা আল্লাহর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। আমরা নির্দেশ শুনেছি এবং বাস্তব হ্মেত্রে মেনে নিয়েছি। হে আল্লাহ্! আমরা তোমার নিকট গুনাহ মাফের জন্য পার্থনা করি, আমাদেরকে তোমার দিকেই ফিরে য়েতে হবে"। (সূরা আল বাকারাহ্ ২৮৫)
শরীয়তের কোন বিধান বা তার নির্ধারিত শাস্তি ও দন্ডবিধির উপর আপত্তি ও অভিযোগ উত্থাপন করা, বা তা প্রত্যাখ্যান করা ঈমানের সমস্ত দাবিকে গ্রহন না করারই শামিল। যেমন কেউ কেউ চুরি ও ব্যভিচারের দন্ড-বিধি, বহুবিবাহ প্রথা ও উত্তরাধীকার বিধি বিধান প্রভৃতির উপর চরম ধৃষ্টতার সাথে তথাকথিত অসার অভিযোগ খাড়া করে থাকে। আল্লাহ তা' আলা বলেনঃ
وَما كانَ لِمُؤمِنٍ وَلا مُؤمِنَةٍ إِذا قَضَى اللَّهُ وَرَسولُهُ أَمرًا أَن يَكونَ لَهُمُ الخِيَرَةُ مِن أَمرِهِم
অর্থাৎ, "কোন মুমিন পূরুষ ও কোন মুমিন স্ত্রীলোকের এই অধিকার নাই যে, আল্লাহ্ ও তার রাসূল যখন কোন বিষয়ে ফয়সালা করে দিবেন, তখন সে নিজেই সেই ব্যাপারে নিজে কোন ফায়সালা করবার ইখতিয়ার রাখবে"। (সূরা আহজাব ৩৬)
(৪) আনুগত্য। এর অর্থ মেনে নেয়া ও আনুগত্য করা। অর্থাৎ কালেমা যে সমস্ত বিষয়কে আরোপ করে, তা স্বীকৃতি দেওয়া। আর আনুগত্য হলো কর্মের মাধ্যমে তার অনুসরন করা। তাই কেউ "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্" এর অর্থ বুঝলো, এর প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করলো, এবং মৌখিক স্বীকৃতিও দিল, কিন্তু সে জ্ঞান অনুযায়ী আমল করলো না, করলো না আনুগত্য ও অনুসরণ, এমতাবস্থায় তার সেই জ্ঞান, বিশ্বাস ও মৌখিক স্বীকৃতি তার কোন উপকারে আসবে না। আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ
وَأَنيبوا إِلىٰ رَبِّكُم وَأَسلِموا لَهُ
অর্থাৎ, "ফিরে এসো তোমার রবের দিকে এবং অনুগত হও তার"। আল্লাহ্পাক আরো বলেনঃ
فَلا وَرَبِّكَ لا يُؤمِنونَ حَتّىٰ يُحَكِّموكَ فيما شَجَرَ بَينَهُم ثُمَّ لا يَجِدوا فى أَنفُسِهِم حَرَجًا مِمّا قَضَيتَ وَيُسَلِّموا تَسليمًا
অর্থাৎ, " হে মুহাম্মদ! তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা কিছুতেই মুমিন হতে পারে না, যতহ্মণ না তারা তাদের পারস্পরিক মতভেদের বিষয় ও ব্যপারসমূহে তোমাকে বিচারপতি রুপে মেনে নবে। অতঃপর তুমি যাই ফয়সালা করবে, তারা নিজেদের মনে তৎসম্পর্কে কোন কুন্ঠাবোধ করবে না বরং তা সর্বান্তঃকরনে মেনে নেবে "। (সূরা নিসা ৬৫)
(৫) সত্যানিষ্ঠা। সে নিজের ঈমান ও মৌখিক ধর্ম বিশ্বাসে সত্যবাদী হবে। আল্লাহ্ তা' আলা বলেনঃ
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكونوا مَعَ الصّٰدِقينَ
অর্থাৎ, " হে ঈমানদার লোকেরা! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সত্যাদর্শ লোকদের সঙ্গী হও "। (সূরা তাওবাহ্ ১১৯) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
অর্থাৎ, "যে ব্যক্তি অন্তর থেকে সত্যানিষ্ঠা সহকারে 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ' বললো, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে"। (মুসনাদে আহমদ) কেউ যদি এ কালেমাটি মৌখিক স্বীকৃতি দেয় আর অন্তরে তার দাবিকে প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে, তাহলে তার মৌখিক স্বীকৃতি তাকে মুক্তি দিতে পারবে না। বরং সে মুনাফিকের অন্থর্ভুক্ত হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনিত বিষয়কে বা তার কোন কিছুকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা সত্য নিষ্ঠার পরিপন্থী বস্তু। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা নিজের আনুগত্য নির্দেশ প্রদানের সঙ্গে রাসূলের আনুগত্য ও তার সত্যায়ন করাকে সংযুক্ত করেছেন। যেমন আল্লাহ্ বলেনঃ
قُل أَطيعُوا اللَّهَ وَأَطيعُوا الرَّسولَ
অর্থাৎ, "বলো, আল্লাহর অনুগত হও এবং রাসূলের অনুসরনকারী হও"। (সূরা নূর ৫৪)
(৬) ইখলাস। বান্দা নিয়ত তথা সংকল্পকে শির্কের সমস্ত পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত রেখে স্বীয় আমলকে স্বচ্ছ রাকবে।সুতরাং তার সমস্ত কাজ ও কথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের নিমিত্তে হবে। তাতে লোক দেখানোর উদ্দেশ্য বা খ্যাতি অর্জনের অভিলাষ অথবা কোন লাভের আকাঙ্হ্মা কিংবা ব্যক্তিস্বার্থ সিদ্ধ করার সাধ অথবা প্রকাশ্য বা গোপনীয় কোন প্রবৃত্তির সিদ্ধি, আল্লাহর হেদায়াতকে অপেহ্মা করে কোন ব্যক্তি মাযহাব বা দলের অত্যাধিক ভালবাসার বশবর্তী হয়ে আমল করার প্রবনতা থাকতে পারে না। বরঞ্চ সকল কাজ আল্লাহর সন্তুষ্ট বিধান এবং পরলৌকিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য হতে হবে। কোন মানুষের বিনিময় প্রদান বা কৃতজ্ঞতা পাওয়ার প্রতি ভ্রুহ্মেপও করবে না। আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ
أَلا لِلَّهِ الدّينُ الخالِصُ
অর্থাৎ, "সাবধান! বিশুদ্ধ আনুগত্য একমাত্র আল্লাহরই হক"। (সূরা যূমার ৩) আল্লাহ আরো বলেনঃ
وَما أُمِروا إِلّا لِيَعبُدُوا اللَّهَ مُخلِصينَ لَهُ الدّينَ
অর্থাৎ, "আর তাদেরকে এটা ব্যতীত কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা আল্লাহর এবাদত করবে, নিজেদের দ্বীনকে একমাত্র তারই জন্য খালিস করবে"। (সূরা বায়্যিনাহ
(৫) বুখারী ও মুসলিম শরীফে ইতবান (রাঃ) থেকে একটি হাদিস বর্নিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
(৫) বুখারী ও মুসলিম শরীফে ইতবান (রাঃ) থেকে একটি হাদিস বর্নিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
অর্থাৎ, "যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বলল, আল্লাহ্ তাকে দোযখের উপর হারাম করে দেন"।
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ-এর অর্থঃ
এ বাক্যটির অর্থ হলো, মৌখিক ও আন্তরিক ভাবে স্বীকার করা যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল মানবকুলের প্রতি প্রেরিত রাসূল। আর এ স্বীকৃতির দাবি হলো, তার নির্দেশাবলীর আনুগত্য করা। অতীত ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার দেওয়া সংবাদ সত্য বলে বিশ্বাস করা। তিনি যেসব কাজ নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা। আর আল্লাহর এবাদত তারই প্রদত্ত বিধি-বিধান অনুযায়ী সম্পাদন করা।
এ বাক্যটির দু'টি অংশ রয়েছে যথাঃ
(১) মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা।
(২) মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল।
আর এ অংশ দু'টি তার ব্যপারে বাড়াবাড়ি করার ব্যপারে অস্বীকৃতি ঘোষনা করে। তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আর এই উভয় গুনের দ্বারাই তিনি সৃষ্টির সৃষ্ট মানব। এখানে (আবদ্) এর অর্থ হলো অধীনস্হ বান্দা অর্থাৎ তিনি মানুষ। অন্যান্য সৃষ্টির ন্যায় তিনিও সৃষ্ট। মানুষ হিসেবে তাদের উপরে যা প্রযোজ্য তার উপরেও সমভাবে তা প্রযোজ্য। আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ
قُل إِنَّما أَنا۠ بَشَرٌ مِثلُكُم
অর্থাৎ, "হে নবী বলে দাও, আমি তোমাদের মতনই একজন মানুষ। (সূরা কাহ্ফ ১১০) আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেনঃ
الحَمدُ لِلَّهِ الَّذى أَنزَلَ عَلىٰ عَبدِهِ الكِتٰبَ وَلَم يَجعَل لَهُ عِوَجا
অর্থাৎ, "সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি তার বান্দার উপর কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে কোনরুপ বক্রতার অবকাশ রাখেন নাই"। (সূরা কাহ্ফ ১) আর "রাসূল" এর অর্থ হলো তিনি সকল মানব সম্প্রদায়কে আল্লাহর প্রতি আহ্বানকারী, সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা হিসাবে প্রেরিত হয়েছিলেন। এই উভয় গুনের সাহ্ম প্রদান তার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করাকে অস্বীকার করে। অনেক মানুষ যারা নিজেকে নবীর উম্মত বলে দাবি করে, তার ব্যাপারে অতিরঞ্জিত ও বাড়াবাড়ি করতঃতাকে বান্দার মর্যাদা থেকে সরিয়ে মা'বুদের মর্যাদায় ভূষিত করে থাকে। তাই আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার নিকট ফরিয়াদ ও প্রয়োজন পূরনের প্রার্থনা এবং বিপদ মুক্তির কামনা করে থাকে। অথচ। এসব কেবল মাত্র আল্লাহরই হ্মমতাধীন। আবার অনেকে তার রিসালাতকে অস্বীকার করে অথবা তার অনুসরনে বাড়াবাড়ি করে এবং তার প্রতি প্রেরিত বিধানের পরিপন্থী উক্তির উপর নির্ভর করে।
আমাদের সকলকে এ কালেমার অর্থ বোঝার তৌফিক দান করুন, আমিন।
Wednesday, May 11, 2016
ফরয নামাযের পর দোয়া ও যিকির।
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।
পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আমরা মুসলিম ভাইয়েরা অনেকেই জানিনা ফরয নামাজ শেষে কি দোয়া দরুদ পড়তে হয় তাই আমার এ লেখা।
সালাম ফিরানোর পর যে দোয়া পড়তে হয় নিম্ন তা উল্লেখ করা হলঃ
ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আমরা মুসলিম ভাইয়েরা অনেকেই জানিনা ফরয নামাজ শেষে কি দোয়া দরুদ পড়তে হয় তাই আমার এ লেখা।
সালাম ফিরানোর পর যে দোয়া পড়তে হয় নিম্ন তা উল্লেখ করা হলঃ
ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
দোয়া নং ১
أَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারনঃ আস্তাগফিরুল্লা
দোয়া নং ২
দোয়া নং ২
۞اللهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَ مِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَ الإِكْرَام
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া যালযালালি ওয়াল ইকরাম।
দোয়া নং ৩
দোয়া নং ৩
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারনঃ লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়ীন কাদির।
দোয়া নং ৪
দোয়া নং ৪
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
উচ্চারনঃ লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লা শাইয়ীন কাদির লা হাওলা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা নাফবুদু ইল্লা ইয়্য়াহু লাহুন্নাফহাতু ওয়ালাহুল ফাদলু ওয়ালা হুশ্শানাউল হাসানু লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুখলেছিনা লাহুদ্দাইনা ওয়ালাও কারিহাল কাফেরুন।
দোয়া নং ৫
দোয়া নং ৫
اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
উচ্চারনঃ আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহুয়াল হায়্যুল কায়্যুম লা-তা খুজুহু শিনাতু ওয়ালা নাউম লাহু-মা ফিছ্ছামাওয়াতি ওয়ামা-ফিল আরদ্বি মান-জাল্লাজি ইয়াশফাও ইনদ্বাহু ইল্লা বি-ইজনিহি ইয়া-লামু মা-বাইনা আইদ্বিহিম ওয়ামা খালফাহুম ওয়ালা ইয়্যুহিতুনা বিশাইয়িমমীন ইলমিহি ইল্লা বিমাশা-আ অছিয়্যা কুরছিয়্যু হুছ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা ওয়ালা ইয়া-উদুহু হিফজুহুমা ওয়া-হুয়াল আলিয়্যুল আযীম।
দোয়া নং ৬
দোয়া নং ৬
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۞ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۞ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ۞ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ۞ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
উচ্চারণঃ কূল আ-উজুবি রাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া-মিন শাররি গাসিকীন ইজা ওয়কাব। ওয়া-মিন শাররিন্নাফ্ফাসাতি ফিলউকাদ। ওয়া মিন শাররি হাসিদীন ইজা হাসাদ।
দোয়া নং ৭
দোয়া নং ৭
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۞ مَلِكِ النَّاسِ ۞ إِلَهِ النَّاسِ ۞ مِنْ شَرِّ الْخَنَّاسِ ۞ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ۞مِنَ الجِنَّةِ وَالنّاسِ
উচ্চারণঃ কূল আ-উজুবি রাব্বিন্নাস। মালিকিন্নাস। ইলাহিন্নাস। মিন শাররিল ওয়াস-ইসু ফি-ছু দুরিন্নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাস।
দোয়া নং ৮
দোয়া নং ৮
۞اللّهُـمَّ إِنِّـي أَسْأَلُـكَ عِلْمـاً نافِعـاً وَرِزْقـاً طَيِّـباً ، وَعَمَـلاً مُتَقَـبَّلاً
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিযকান তায়্যিবান, ওয়া আমালান মুতাকাব্বাল।
দোয়া নং ৯
দোয়া নং ৯
۞اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আ-লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।
দোয়া নং ১০
দোয়া নং ১০
سُبْحَانَ الله (তেত্রিশ বার)
উচ্চারণঃ সুবহানআল্লাহ্
الْحَمِدُ للهِ (তেত্রিশ বার)
উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহ্
اللهَ اَكْبَر (তেত্রিশ বার)
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার
۞لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ (এক বার) ۞قَدِيرٌ
উচ্চারনঃ লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়ীন কাদির।
উচ্চারনঃ লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়ীন কাদির।
Subscribe to:
Posts
(
Atom
)