মোঃবাহাদুর হোসেন বাদল

Wednesday, June 1, 2016

কোরআন ও হাদীসের আলোকে ইলম/জ্ঞান

No comments :
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহ্‌ তা'আলার নামে যিনি অতি দয়ালু।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আজকে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব কোরানের আলোকে ইলম/জ্ঞান চর্চার গুরুত্ত। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক। 
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ
"ওদের বল, যারা জানে এবং যারা জানে না এই উভয়দল কখনো সমান হতে পারে না"।( সূরা আল যুমার -৯)
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা কোরআনুল কারীমে অন্যত্র উল্লেখ করেনঃ
يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ
"তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার ও যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ্ তাদেরকে সুউচ্চ মর্যাদা দান করবেন"।(সূরা আল মুজাদালাহ্-১১)
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেনঃ
وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
"হে পরোয়ারদিগার! আমাকে আরো অধিক জ্ঞান দান কর"। (সূরা ত্বোয়া-হা -১১৪)
আল্লাহ্‌ তা'আলা আরো বলেনঃ
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاء
"আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল ইলম/জ্ঞান সম্পন্ন লোকেরাই তাকে ভয় করে"।(সূরা ফাতির - ২৮)
ইলম/জ্ঞান

মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি কোন ইলম/জ্ঞান শিখালো, সে ততটাই প্রতিদান পাবে, যতটা আমলকারী পাবে। আর আমলকারীর প্রতিদানে কোন ঘাটতি আসবে না"। (ইবনে মাজা)
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসূল (সাঃ) বলেন, "আদমের কোন সন্তান যখন মারা যায়, সাথে সাথে তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমলের সাওয়াব পেতে থাকে। সাদকায়ে জারিয়াহ, এমন ইলম/জ্ঞান যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়, এবং সুসন্তান যে তার জন্য দোয়া করে"।(মুসলিম)
সাহল বিন সা'দ (রাঃ) থেকে বর্নিত। নবী কারীম (সাঃ) বলেন, "আল্লাহর শপথ! তোমার মাধ্যমে কোন একটি লোককেও যদি আল্লাহ্‌ হেদায়াত দান করেন, তাহলে তা তোমার জন্য লাল উটের চেয়েও উত্তম"। (বুখারী)
আব্দুল্লাহ বিন আমরুবনিল আস (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসূল (সাঃ) বলেন"আমার কাছ থেকে একটি বাক্য হলেও তা লোকদের কাছে পৌছিয়ে দাও"।(বুখারী)

উক্ত আয়াত ও হাদীস সমূহের নির্দেশনাবলীঃ

১। উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস সমূহের ইলম ও ওলামায়ে কেরামদের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। যে দিনের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করে, তার জন্য আল্লাহর কল্যানকামিতাই প্রমান করে। অনুরুপ জ্ঞান অন্বেষন করা জান্নাত লাভের অন্যতম কারনও বটে।
২। মানুষকে শিক্ষাদান ও সৎপথ প্রদর্শন করা এবং স্বল্প হলেও জ্ঞান প্রচারের প্রতিদান অনেক অনেক বেশী। আর তা মৃত্যুর পরেও মানুষের কাজে আসবে।
৩। নফল এবাদতের চেয়ে ইলম তথা জ্ঞান অর্জন করা উত্তম ও শ্রেয়।
৪। সন্তানাদিদের সৎ ও উত্তম তারবীয়াতের প্রতি আগ্রহী হওয়া আবশ্যক। 

No comments :