নামাজ বেহেস্তের চাবী

মোঃবাহাদুর হোসেন বাদল

Showing posts with label হালাল-হারাম. Show all posts

Thursday, June 9, 2016

কোরআন ও হাদীসে হালাল-হারাম।

No comments :
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।
সমস্ত প্রসংশা মহান আল্লাহ তা'আলার জন্য। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী আহমদ মুস্তফা, মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এর উপর, বংশধর ও সহচরদের উপর।
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা পবিত্র কোরানে বলেনঃো
 يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلاَلاً طَيِّباً
"হে মানব জাতি! তোমরা পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তসামগ্রি ভক্ষণ কর"। (সূরা বাকারা- ১৬৮)
আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُلُواْ مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُواْ لِلّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
"হে মুমিঙ্গন আমি তোমাদেরকে যেসব পবিত্র বস্তসামগ্রী রুযী হিসাবে দান করেছি তা হতে ভক্ষণ কর এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর"। (সূরা বাকারা- ১৭২)
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেনঃ
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلاَ عَادٍ فَلا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
"তিনি তো তোমাদের জন্য উপর হতে নিক্ষিপ্ত মৃত জন্ত, রক্ত, শূকরের মাংশ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে যবেহকৃত প্রানী হারাম করেছেন। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানি ও সীমা লংঘনকারি না হয়, তার জন্য তা ভক্ষণ করাতে কোন পাপ নেই। নিশ্চয় মহান আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু"। (সূরা বাকারা-১৭৩,সূরা নাহল- ১১৫)
আল্লাহ আরো বলেনঃ
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُواْ بِاللّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ "হে নবী! তুমি তাদের বলে দাও, আমার পালনকর্তা তো কেবলমাত্র অশ্লীল নির্লজ্জ বিসয়সমূহ হারাম করেছেন। যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গুনাহের কাজ, অন্যায়-যুলুম, আল্লাহর সাথে এমন জিনিসকে অংশীদার করা যার কোন প্রমান অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর প্রতি এমন কথা আরোপ করা যা তোমরা জান না"। (সূরা আরাফ-৩৩)
আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তা'আলা আরো বলেনঃ
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَاجِكَ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ "হে নবী! তুমি কেন সেই জিনিস হারাম করো যা আল্লাহ্‌ তুমার জন্য হালাল করেছেন। (তা কি এই জন্য যে) তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তোষ পেতে চাও? আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু"। (সূরা তাহরীম- ১)

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "মানব জাতীর কাছে এমন একটি সময় আসবে যখন মানুষ কামাই-রোজগারের ব্যাপারে হালাল হারামের কোন বাচ-বিচার করবেনা" (বুখারী)
হালাল-হারাম

হযরত জারির (রাঃ) হতে বরনিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে শরীরের গোশত হারাম খাদ্যদ্বারা গঠিত হলো, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না"। (বায়হাকী, আহমদ) 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "হারাম পথে উপার্জন করে বান্দা যদি তা দান করে দেয় তবে আল্লাহ সে দান কবুল করবেন না। প্রয়োজন পূরণের জন্য সে সম্পদ ব্যয় করলে তাতেও বরকত হয় না। সে ব্যক্তি যদি সেই (হারাম) সম্পদ রেখে মারা যায় তাহলে তা তার জাহান্নামে যাওয়ার পাথেয় হবে। আল্লাহ অন্যায় দিয়ে অন্যায় মিটান না। বরং তিনি নেক কাজ দিয়ে অন্যায় কে মিটিয়ে থাকেন"। (মিশকাত)।

 রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "কোন একজন ব্যক্তি দু'হাত আকাশের দিকে উত্তলন করে দোয়া করে বলে, হে আল্লাহ! হে আল্লাহ! অথচ তার খাদ্য,পানীয় ও লেবাস-পোষাক সব কিছুই হারাম উপার্জনের। এমনকি সে এ পর্যন্ত হারাম খাদ্য দ্বারাই জীবন ধারন করেছে। সুতরাং তার দোয়া কি ভাবে কবুল হবে?"। (মুসলিম) 

 রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "মানুষের খাদ্যের মধ্যে সেই খাদ্যই সবচেয়ে উত্তম যে খাদ্যের ব্যবস্থা সে নিজ হাতে কামাই- এর দ্বারা করে। আল্লাহর প্রিয় নবী হযরত দাউদ (আঃ) নিজ হাতের কামাই হতে খাদ্য গ্রহন করতেন"। (বুখারী)
হে আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে হারাম বস্ত হতে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন, আমিন।  
********************
******************