নামাজ বেহেস্তের চাবী

মোঃবাহাদুর হোসেন বাদল

Showing posts with label রোযা বা সিয়াম. Show all posts

Sunday, June 5, 2016

রোযা বা সিয়ামের সহী নিয়ম ও বিধান।

No comments :
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। 
সকল প্রসংশা একমাত্র আল্লাহর জন্য। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর এবং তাঁর বংশধর, সহচর ও তাঁর বন্ধুদের উপর। 
রমযানের রোযা ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তিসমূহের অন্যতম ভিত্তি। যার প্রমান নবী (সাঃ) এর বানী। তিনি বলেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর রাখা হয়েছে। আর তা হল, এই সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত সত্যিকারে কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। নামাজ আদায় করা, যাকাত প্রদান করা, বায়তুল্লাহ শরীফের হজ্জ পালন করা, এবং রমযান মাসে রোযা রাখা। (বুখারী ও মুসলি) আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ফযর থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, যৌন বাসনা পূরন ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য থেকে বিরত থাকার নামই হলো সিয়াম/রোযা।আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেনঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।
মহান আল্লাহ বলেনঃ 
(يَأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمََنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قََبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ)
“হে ইমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম (রোযা) ফরজ করা হয়েছে যেমনভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা পরহেজগার হতে পার। (সূরা বাকারাঃ ১৮৩)
বিস্তারিত জানতে ওয়াজটি শুনতে পারেন। 
বাংলা ওয়াজ মতিউর রহমান মাদানি।

রমযান মাসের মাহাত্ম্যঃ

আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র রমযান মাসকে এমন কিছু বৈশিষ্টে ও গুনে বিশেষিত করেছেন, যা অন্যান্য মাসে পাওয়া যায় না। আর এই মাসের গুন ও বৈশিষ্টের মধ্যে হলোঃ
১। ফেরেস্তাকুল রোযাদারের জন্য আল্লাহর নিকট হ্মমা প্রার্থনা করতে থাকেন যতহ্মন না সে ইফতার করে।
২। বিতাড়িত শয়তানকে এ মাসে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।
৩। এ মাসে রয়েছে একটি কদরের (সম্মানিত) রাত যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।
৪। রমযান মাসের শেষ রাত্রিতে সকল রোযাদারকে হ্মমা করা হয়।
৫। এ মাসে প্রত্যেক রাতে আল্লাহ্‌ তা'আলা অনেক মানষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।
৬। এ মাসে একটি উমরার সাওয়াব একটি হজ্জের সমান।
নবী কারীম (সাঃ) কথিত অনেক বানী দ্বারাও এ মাসের ফযীলত ও গুন প্রকাশ পায়, যেমন তিনি বলেন, "যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাস ও নেকির আশায় রমযান মাসের রোযা রাকবে, তার বিগত গুনাহসমূহ হ্মমা করে দেওয়া হবে"।(বুখারী ও মুসলিম) অন্য একটি হাদীসে বর্নিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "আদম সন্তানের প্রত্যেক সৎ কাজের বিনিময় দশ থেকে সাতশত গুন বৃদ্ধি করা হয়। মহান আল্লাহ্‌ বলেন, কিন্তু রোযা আমারই (আমার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে রেখেছে) তার প্রতিদান আমি নিজে দিব"।(ইবনে মাজাহ্)

রমযান প্রবেশের প্রমানঃ

www.bahadurhossen24.com
riyadh mousqe
দূটি জিনিসের যেকোন একটি দ্বারা রমযান প্রবেশের প্রমান হয়। যেমন, ১। রমযান মাসে চাঁদ দেখা। চাঁদ দেখা গেলেই রোযা ফরজ হয়ে যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, চাঁদ দেখে রোযা রাখবে এবং চাঁদ দেখেই রোযা ছাড়বে।(বুখারী ও মুসলিম) রমযানের চাঁদ দেখার প্রমানে একজন ন্যায়পরায়ন ব্যক্তির সাক্ষ্যই যথেষ্ট হবে। তবে রোযা ছাড়ার হ্মেত্রে শাওয়াল মাসের চাঁদের প্রমানে দুজন ন্যায়পরায়ন ব্যক্তির সাক্ষ্যি অত্যাবশ্যক।
২। সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ করা। ৩০ দিন পূর্ণ করলে ৩১ দিনটাই রমযান মাসের প্রথম তারিখ হবে। কারন রাসূল (সাঃ) বলেন, "যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়, তাহলে সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ করো"। (বুখারী-মুসলিম)

কাদের জন্য রোযা ছাড়া জায়েয? 

১। এমন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি যার আরোগ্যের আশা করা যায়। তার উপর রোযা রাখা কষ্টকর হলে, ছেড়ে দেবে এবং পরে তা কাযা করবে। কারো ব্যাধি যদি চিরস্থায়ী হয় অর্থাৎ যার আরোগ্যের আশা না থাকে তবে, তার পক্ষে রোযা রাখা জরুরী নয়। সে প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে এক মুদ (৫৫০ গ্রাম) খাদ্যদ্রব্য দ্বারা খাওয়াবে।
২। মুসাফীরঃ মুসাফির বাড়ি থেকে যাওয়া থেকে নিয়ে পুনরায় বাড়ি প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত রোযা ছেড়ে দিতে পারবে। যে শহরে সফর করে গেছে সেখানে বহুদিন অবস্হান করলেও মুসাফির বলে গন্য হবে যতদিন তার এই নিয়ত থাকবে যে, উদ্দেশ্য সাধিত হওয়ার পর সেখানে আর অবস্হান করবে না। আর এই বিধান এমন সফরের হ্মেত্রে য়ার দূরত্ব ৮০ কিমিঃ ও তার উর্ধে হবে।
৩। গর্ববতী ও দুধ দানকারিনী মহিলারা নিজের ও সন্তানের উপর কোন হ্মতির আসংকা বোধ করলে রোযা ছেড়ে দিতে পারবে। অতঃপর কারন দূরীভূত হয়ে গেলে ত্যাগকৃত দিনগুলির রোযা কাযা করবে।
৪। যে বৃদ্ধ ব্যক্তির উপর রোযা রাখা কষ্টকর হবে, সে রোযা ছেড়ে দিবে এবং তাকে কাযাও করতে হবে না। তবে প্রত্যেক দিন একজন মিসকিন খাওয়াবে।

রোযা নষ্টকারী বস্তসমূহঃ 

১। ইচ্ছাকৃত পানাহার করা, তবে ভূলক্রমে কোন কিছু পানাহার করে ফেললে, তা রোযার উপর কোন প্রভাব সৃষ্টি করবে না। কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি ভূলক্রমে পানাহার করলো, সে যেন তার রোযা পূর্ণ করে"। (মুসলিম) নাকের মাধ্যমে পানি পেটে প্রবেশ করলে, কোন বিকল্প পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহন করলে ও প্রয়োজনে শরীরে রক্ত প্রবেশ করালে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। কারন এ সবই রোযাদারের জন্য খাদ্য বলে গন্য।
২। যৌনবাসনা পূরন করা, যখনই কোন ব্যক্তি তার স্ত্রী সাথে যৌনবাসনা পূরন করবে, তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। তার উপর কাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। কাফফারা হলো কোন ক্রীত দাস-দাসী স্বাধীন করা, তা না পেলে একাধারে দু'মাস রোযা রাখা। কোন শরিয়াতী কারন যেমন, দু'ঈদের দিন ও আয়্যামে তাশরীক (জিল হজ্জ মাসের ১১,১২ ও ১৩ তারিখ) এ রোয়া রাখা অথবা মানসিক কারন যেমন, রোগ-ব্যাধি এবং রোযা না ছাড়ার উদ্দেশ্যে সফর করা ইত্যাদি ব্যতীত এ দু'মাসের কোন এক দিনও রোযা ত্যাগ করা যাবে না। কোন কারন ব্যতীত এক দিনও যদি রোযা বাদ দেয়, তাহলে পূনরায় নতুন ভাবে প্রথম থেকে রোযা রাখতে হবে। কারন এতে ধারাবাহিকতা অপরিহার্য। যদি দু'মাস রোযা রাখতে অহ্মম হয়, তাহলে ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াবে।
৩। জাগ্রত অবস্হায় হস্তমৈথুন অথবা স্ত্রীকে স্পর্শ ও চুম্বন করার কারনে বির্যপাত ঘটলে, রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং তার উপর কাযা ওয়াজিব হবে কাফফারা নয়। তবে স্বপ্নদোষে রোযা নষ্ট হয় না।
৪। সিঙ্গীর মাধ্যমে শরীর থেকে দূষীত রক্ত বের করলে, কিংবা দানের উদ্দেশ্যে বের করলে রোয়া নষ্ট হয়ে যাবে। তবে স্বল্প পরিমান রক্ত বের কর যেমন, পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করলে, তাতে রোযা নষ্ট হয় না। অনুরুপ নাকের রক্ত প্রবাহের রোগ ও দাত উপড়ে ফেলার কারনে রক্ত বের হলে রোযা নষ্ট হবে না।
৫। ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অনিচ্ছাকৃত হলে নয়।
উপরোক্ত রোযা নষ্টকারী বস্তুসমূহের দ্বারা তখনই রোযাদারের রোযা নষ্ট হবে, যখন সে জেনে শুনে ইচ্ছাকৃত ভাবে তা গ্রহন করবে। কিন্তু যদি সে এ সম্পর্কীয় শরিয়তী বিধানের ব্যাপারে অজ্ঞ হয় অথবা ফজর উদিত হয়েছে কি না ও সূর্যাস্ত হয়েছে কি না ইত্যাদি ব্যাপারে সন্দেহ করতঃ কোন কিছু গ্রহন করে, তাহলে তার রোযা নষ্ট হয় না। অনুরুপ উক্ত বস্তু নিজ ইখতিয়ারে গ্রহন করতে হবে। নিরুপায় বা বাধ্যতামূলক ভাবে গ্রহন করলে, রোযা নষ্ট হবে না বরং তার রোযা বিশুদ্ধ বলে গন্য হবে এবং তাকে কাযাও করতে হবে না।
৬। হায়েজ (মাসিক রক্ত স্রাব) ও নেফাস (প্রসবোত্তর রক্ত স্রাব) বের হওয়াও রোযা নষ্টকারী বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। রক্ত দেখার সাথে সাথেই মহিলাদের রোযা নষ্ট হয়ে যায়। অনুরুপ হায়েজ ও নেফাস অবস্হায় নারীদের রোযা রাখা হারাম। তারা রমযানের পর ত্যাগকৃত রোযা কাযা করবে।

রোযার সুন্নাতঃ

১। সেহরী খাওয়া,  কারন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "সেহরী খাও; কেননা সেহরীতে বরকত নিহিত আছে"। (বুখারী ও মুসলিম) শেষ রাত্রি পর্যন্ত বিলম্ব করে সেহরী খাওয়াও সুন্নাত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যতক্ষন পর্যন্ত আমার উম্মাত ইফতারীতে তাড়াতাড়ি ও সেহরীতে বিলম্ব করবে ততক্ষন পর্যন্ত তারা ভালর মধ্যেই থাকবে।
২। সূর্যাস্তের পর পরই শীঘ্র ইফতার করা। সদ্যপাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নাত। তা না পেলে শুষ্ক খেজুর, গা না পেলে পানি দিয়ে, যদি এসবের কিছুই না পায় তাহলে হালাল খাদ্য যা পাবে তাই দিয়ে ইফতার করবে।
৩। রোযা রাখা অবস্হায় বেশি বেশি দোয়া করা বিশেষ করে ইফতারীর সময়। কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, " তিন প্রকারের দোয়া গ্রহন যোগ্য হয়, রোযাদারের দোয়া, অত্যাচারীত ব্যক্তির দোযা, এবং মুসাফিরের দোয়া"। (বায়হাক্বী) রোযাদারের উচিত রমজান মাসে (আল্লাহর এবাদতের লক্ষে) রাত্রি জাগরন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাস ও নেকীর আশায় রমজান মাসে রাত্রি জাগরন করে, তার বিগত সমস্ত গুনাহকে ক্ষমা করা হয়"। (বুখারী ও মুসলিম) তাই সকল মুসলমানের উচিত ইমামের সাথে তারাবীর নামাজ আদায় করা। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাজে দাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তার সাথে থাকে, তার (নেকীর খাতায়) পূর্ণ একরাত্রির এবাদতের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়"। (তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী) রমজান মাসে বেশি বেশি দান করাও উচিত। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "সর্ভোত্তম সাদকা হলো রমজান মাসের সাদকা"। (তিরমিযী) অনুরুপ ভাবে রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতের যত্ন নেওয়া দরকার। কারন রমজান মাস কোরআনের মাস। কোরআন তেলাওয়াতকারীর জন্য রয়েছে প্রত্যক অক্ষরের পরিবর্তে নেকী। আর সে নেকী এক থেকে দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

তারাবীর নামাজঃ

রমজান মাসের রাত্রে জামা'আত বদ্ধভাবে কিয়াম করার নামই হচ্ছে তারাবীহ। তারাবীর সময় হলো এশার পর থেকে নিয়ে ফজর উদিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। নবী কারীম (সাঃ) তারাবীর নামাজ আদায় করার ব্যাপারে দারুনভাবে উৎসাহিত করেছেন। (সঠিক মত অনুযায়ী) তারাবীহ্ নামাজের সংখ্যা হলো, ১১ রাক'আত। প্রত্যেক দু' রাক'আতে সালাম ফিরানো সুন্নাত। ১১রাক'আতের অধিক পড়াতেও দোষ নেই। তারাবীহ নামাজে ধীরস্হিরতা অবলম্বন করা এবং নামাজকে এতটা লম্বা করা সুন্নাত যাতে মুসল্লীদের কোন প্রকার অসুবিধা না হয়। ফিৎনার আশংকা না থাকলে মহিলারাও তারাবীর নামাজে উপস্হিত হতে পারবে। তবে শর্ত হলো, পর্দা বজায় রেখে, সৌন্দর্য প্রদর্শন থেকে বিরত থেকে ও সুগন্ধি ব্যবহার না করে বের হতে হবে।

যে দিনে রোযা রাখা হারামঃ

১। দু'ঈদে অর্থাৎ, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে।
২। আয়্যামে তাশরীকে অর্থাৎ, যিলহজ্জ মাসের ১১, ১২, ও ১৩ তারিখে। তবে কেরান অথবা তামাত্তো হজ্জকারী যদি কোরবানির পশু না পায়, তাহলে তারা উক্ত বিধানেরর আওতায় আসবে না। (অর্থাৎ, তারা আয়্যামে তাশরীকে রোজা রাখতে পারবে)
৩। হায়েজ ও নেফাসের দিনগুলিতে রোজা রাখা।
৪। স্বামীর উপস্হিতিতে তার অনুমতি ব্যতীত রোজা রাখা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "স্বামীর উপস্হিতিতে কোন স্ত্রী তার অনুমতি ছাড়া রমযান ব্যতীত অন্য কোন রোজা রাখতে পারে না"। (বুখারী ও মুসলিম)