Friday, March 18, 2016
কোরআন ও হাদিসের আলোকে যিকরের ফযীলত
মহান করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি ।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে যিকরের ফযীলতঃ
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
فَاذكُرونى أَذكُركُم وَاشكُروا لى وَلا تَكفُرونِ
অতঃপর,তোমরা আমাকে স্মরণ করো,আমি তোমাদেরকে স্মরন করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং আমার নিয়ামতের নাশোকরী করো না।
(সূরা আল বাকারাহ্-১৫২)
অতঃপর,তোমরা আমাকে স্মরণ করো,আমি তোমাদেরকে স্মরন করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং আমার নিয়ামতের নাশোকরী করো না।
(সূরা আল বাকারাহ্-১৫২)
আল্লাহ্ তা'লা অন্যত্র এরশাদ করেনঃ
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنُوا اذكُرُوا اللَّهَ ذِكرًا كَثيرًا
হে ইমানদারগন! আল্লাহ্কে বেশী বেশী স্মরণ করো।
(সূরা আল-আহযাব-৪১)
আল্লাহ অন্যত্র বলেনঃ
তোমার প্রভূকে স্মরণ করো মনের মধ্যে দৃঢ়তার সাথে ও ভীতি সহকারে এবং উচ্চ আওয়াজের পরিবর্তে নিম্ন আওয়াজে আর তোমরা উদাসিন (গাফেল) দের অন্তর্ভূক্ত হয়োনা।
(সূরা আল আ'রাফ-২০৫)
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
إِنَّ فى خَلقِ السَّمٰوٰتِ وَالأَرضِ وَاختِلٰفِ الَّيلِ وَالنَّهارِ لَءايٰتٍ لِأُولِى الأَلبٰبِ
الَّذينَ يَذكُرونَ اللَّهَ قِيٰمًا وَقُعودًا وَعَلىٰ جُنوبِهِم وَيَتَفَكَّرونَ فى خَلقِ السَّمٰوٰتِ وَالأَرضِ رَبَّنا ما خَلَقتَ هٰذا بٰطِلًا سُبحٰنَكَ فَقِنا عَذابَ النّارِ
رَبَّنا إِنَّكَ مَن تُدخِلِ النّارَ فَقَد أَخزَيتَهُ ۖ وَما لِلظّٰلِمينَ مِن أَنصارٍ
رَبَّنا إِنَّنا سَمِعنا مُنادِيًا يُنادى لِلإيمٰنِ أَن ءامِنوا بِرَبِّكُم فَـٔامَنّا ۚ رَبَّنا فَاغفِر لَنا ذُنوبَنا وَكَفِّر عَنّا سَيِّـٔاتِنا وَتَوَفَّنا مَعَ الأَبرارِ
رَبَّنا وَءاتِنا ما وَعَدتَنا عَلىٰ رُسُلِكَ وَلا تُخزِنا يَومَ القِيٰمَةِ ۗ إِنَّكَ لا تُخلِفُ الميعادَ
فَاستَجابَ لَهُم رَبُّهُم أَنّى لا أُضيعُ عَمَلَ عٰمِلٍ مِنكُم مِن ذَكَرٍ أَو أُنثىٰ ۖ بَعضُكُم مِن بَعضٍ ۖ فَالَّذينَ هاجَروا وَأُخرِجوا مِن دِيٰرِهِم وَأوذوا فى سَبيلى وَقٰتَلوا وَقُتِلوا لَأُكَفِّرَنَّ عَنهُم سَيِّـٔاتِهِم وَلَأُدخِلَنَّهُم جَنّٰتٍ تَجرى مِن تَحتِهَا الأَنهٰرُ ثَوابًا مِن عِندِ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عِندَهُ حُسنُ الثَّوابِ
নিশ্চয় আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে রাত ও দিনের আবর্তনে বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাড়িয়ে,বসে ও শায়িতাবস্তায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গভেষনা করে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে। (তারা বলে) হে আমার প্রভূ! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করোনি। সকল পবিত্রতা তোমারই। আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি হতে বাচাও। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে তকে অবশ্যয় অপমানিত করলে, আর যালেমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরুপে শুনেছি একজন আহবানকারিকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন,তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দাও,আর আমাদের মৃত্যুুুু দাও নেক লোকের সাথে। হে আমাদের পালনকর্তা!আমাদেরকে দাও যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রাসূলগনের মাধ্যমে এবং ক্বিয়ামতের দিন তুমি আমাদিগকে অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না। অতঃপর তাদের পালনকর্তা তাদের দোয়া কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর পরিশ্রম বিনষ্ট করিনা তা সে হোক পুরুষ কিংবা নারী। তোমরা পরস্পর এক। তারপর সে সমস্ত লোক যারা হিজরত করেছে,তাদের নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রতি নির্যাতন করা হয়েছে।আমার পথে যারা লড়াই করেছে এবং মৃত্যুবরন করেছে , অবশ্যয় আমি তাদের উপর থেকে অকল্যানকে অপসারিত করবো এবং তাদেরকে প্রবিষ্ট করবো জান্নাতে যার তলদেশে নহর সমুহ প্রবাহিত। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম প্রতিদান।
(সূরা আল ইমরান-১৯০-১৯৫)
আরো বিস্তারিত জানতে ওয়াজটি শুনে নিতে পারেন।
আরো বিস্তারিত জানতে ওয়াজটি শুনে নিতে পারেন।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ
যে ব্যক্তি তার রবকে যিকর (স্মরণ) করে,আর যে ব্যক্তি তার রবকে স্মরণ করে না, তাদের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ও মৃতের ন্যায়।
অন্য হাদিসে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ
আমি কি তোমাদের উত্তম আমলের কথা জানাবো না, যা তোমাদের প্রভূর কাছে অত্যন্ত পবিত্র, তোমাদের জন্য অধিক মর্যাদা বৃদ্ধিকারী, সোনা-রুপা ব্যয় করা অপেক্ষা উত্তম তোমরা তোমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা এবং তারা তোমাদেরকে হত্যা করার চাইতেও অধিকতর শ্রেয়?
সাহাবীগন বললেন, হ্যা, তিনি বললেন, তা হল আল্লাহ্ তা'আলার যীকির।
আবদুল্লাহ্ ইবনে বসুর (রাঃ) থেকে বর্নিতঃ এক ব্যক্তি আরজ করলো হে আল্লাহর রাসূল, ইসলামের বিধি-বিধান আমার জন্য বেশী হয়ে গেছে, কাজেই আপনি আমাকে এমন একটি বিষয়ের খবর দিন, যা আমি শক্ত করে আকড়ে ধরবো। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জবাবে বললেনঃ তোমার জিহ্বা যেন সর্বক্ষন আল্লাহর যীকিরে মগ্ন থাকে।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ
যে ব্যক্তি কোন স্হানে বসে আল্লাহর যীকির করেনা, তার সেই উপবেশন আল্লাহর নিকট থেকে নৈরাশ্য ডেকে আনে। আর যে ব্যক্তি কোন শয্যায় শায়িত হয়ে আল্লাহর যীকির করেনা তার সেই শয়নও আল্লাহর কাছে নৈরাশ্যের কারন। (অর্থাৎ এই উদাসিন অবস্হা তার জন্য ক্ষতিকর, তথা হতাশা ও আক্ষেপের কারন।
*************************************
www.bahadurhossen24.com
*************************************
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment